তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির  সকল পদের লিখিত পরিক্ষার  সাজেশন  




তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি 

 

বর্তমান যুগ তথ্য ও যোগাযোগ  প্রযুক্তির যুগ । প্রতিনিয় ত ঘটে যাওয়া বিভিন্ন তথ্যকে  ব্যাবহার করে শুনে কাজে লাগিয়ে আমরা গড়ে তুলছি এ  জগৎ । কম্পিউটার নির্ভ র  তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বর্তমানে সমাজ জীবনে এক প্রকার শক্তি হিসেবে কাজ করতেছে ।


ডেটা  প্রথমিক ভাবে সংঘবদ্ধ বা  একত্রিত করন তথ্যই হচ্ছে ডেটা ।সাধরনত ডেটা শব্দটি  বহুবচনে ব্যাবহারিত হয়ে থাকে ।এর এক বচন হচ্ছে ল্যাটিন শব্দ  ডেটাম যার অর্থ হচ্ছে ফ্যাক্ট । প্রতিটি ঘটনা বা কর্যকলাপ থেকে ডেটার উৎপত্তি হতে পারে । ডেটা মুলত বর্ন সংখ্যা বা চিহ্নের সাহায্যে গঠিত হয়ে প্রক্রিয়া করনের মাধ্যনে তথ্যে পরিনত হয় । কম্পউটারে ব্যাবহারিত অডিও, ভিডিও চিত্র সংখ্যা ইত্যাদি হচ্ছে ডেটা । ডেটা সধারনত এলো মেলো অবস্থায় থাকে ।ডেটা বলতে বুঝায় একক ধারনা ।


নেটওয়ার্ক টপোলজি

যে নক্স অনুযায়ী নেট ওয়ার্ক ভুক্ত কম্পিউটার ভ বা আনুষাঙ্গিক যন্ত্রপাতি পরষ্পরের সাথে সংযুক্ত থাকে তাকে নেট ওয়ার্ক   টপোলজি বলে ।দুই বা ততধিক কম্পিউটারের ক্যাবল , হাব বা সুইচ ইত্যাদি দ্বারা নেটওয়ার্কের আওতা ভুক্ত করার  পদ্ধতিকে নেওয়ার্ক টপোলোজি ।

নেটওয়ার্কে ব্যাবহারিত উল্লেখযোগ্য  টপোলজি  নিচে দেওয়া হলো

১।বাস টপোলজি - BUS TOPOLOGY

২। রিং টপোলজি – RING TOPOLOGY

৩।স্টার টপোলজি –STAR TOPOLOGY

৪।ট্রি টপোলজি –TREE TOPOLOGY

৫।মেশ টপোলজি –COMPLETELY INTERCONNECTED TOPOLOGY

৬। হাইব্রিড টপোলজি - HYBRID TOPOLOGY



বাস টপোলজি - BUS TOPOLOGY

 যে টপোলোজিতে একটি মুল ক্যাবলের সাথে  সব কয়েকটি ওয়ার্ক স্টেশন বা কম্পিউটারে সংযুক্ত থাকে তাকে বাস টপোলজি বলে । বাস টপোলোজির মুল ক্যাবলকে বলা হয় ব্যাকবোন ।মুল ক্যাবলের উভয় পাশে  টার্মিনেটর ব্যাবহার করা হয় । এখানে কোনো কেদ্রীয় কম্পিউটার থাকে না । প্রতিটি কম্পিউটার বা ওয়ার্কস্টেশন  মুল বাসের তারের  মাধ্যমে সংযুক্ত থাকে ।

১। এই টপোলোজি ছোট আকারে নেট ওয়ার্ক  ব্যাবহারে খুব সহজ ।

২।এই সংগঠনটি সহজ সরল

৩।নেটওয়ার্কের সাথে কম্পিউটারের সংযোগ দিতে তারের ব্যাবহার খুবি কম হয় ।

৪।এই নেট ওয়ার্কের ভিতর কোনো একটি কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেলে সম্পূর্ন সিস্টেম টি অচল হয়ে       পড়বে ।

৫।নতুন একটি কম্পিউটার সংযোগ দেয়ার প্রয়জন হলে  মুল বাসের সাথে সংযোগ দিলেই হয় । সিস্টেমের পরিবর্তনের প্রয়োজন হয় না ।ফলে অতিরিক্ত খরচের প্রয়োজন  হয় না ।


রিং টপোলজি – RING TOPOLOGY

এই ধরনের সংগঠনে  কম্পিউটার গুলো পরষ্পর  এমন ভাবে যুক্ত হয় যেন একটি  বৃত্তাকার  নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে । প্রতিটি কম্পিউটার দুই দিকের দুইটি কম্পিউটারের সাথে যুক্ত থাকে ।কম্পিউটার গুলো এমন ভাবে সংযোগ দেয়া হয় যে রিং এর সর্বশেষ কম্পিউটার টি  প্রথম টির সাথে যুক্ত থাকে ।

১। এই পদ্ধতিতে কোনো কেন্দ্রীয়  কম্পিউ টার বা সার্ভারের প্রয়োজন  হয় না ।

২। ডেটা আদান প্রদানের জন্য কেন্দ্রীয় কম্পিউটারের উপর নির্ভর করা বা করতে হয় না

৩।নেটওয়ার্ক যুক্ত সকল কম্পিউটারের গুরুত্ব সমান ।

বি আই ডব্লিউ টি নোটিশ বোর্ড

অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ নিয়োগ 2022

নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়

Biwta নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

নৌ পরিবহন অধিদপ্তর

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশন


স্টার টপোলজি –STAR TOPOLOGY

স্টার টপোলোজি একটি কেদ্রিয়  ডিভাইসের সাথে অন্যান্য  কম্পিউটার গুলো  সংযুক্ত থাকে ।কেন্দ্রীয় ডিভাইস টি হতে পারে একটি হাব বা সুইচ ।  হাব এর মাধ্যমে কম্পিউটার গুলো একে অপরের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে । ডেটা চলাচল  নিয়ন্ত্রন করে হাব বা সুইচ । এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে  ডেটা স্থানন্তরের জন্য প্রথমে হাব প্রেরন করতে হয় । এর পর গ্রহোন কারির কম্পিউটারে  ডেটা পাঠিয়ে দেয় ।

১। এই ধরনের  সংগঠনের কোনো একটি  কম্পিউটার  নষ্ট  হয়ে গেলে  পুরো  সিস্টেম অচল হয়ে যায় না।

২। ডেটা চলা চলের গতি বেশি

৩।নতুন একটি কম্পিউটার সংযোগ দেয়ার প্রয়োজন হলে  সুইচের সাথে সংযোগ দিলেই চলে ।

৪।কেন্দ্রীয় ভাবে এ নেট ওয়ার্ক নিয়ন্ত্রন করা যায়  বলে  ত্রুটি নিরুপন করা  সহজ ।



ট্রি টপোলোজি –TREE TOPOLOGY

ট্রি টপোলোজি বা গাছ টপোলোজি  সংগঠনের ওয়ার্ক স্টেশন  বা  কম্পিউটার গুলো  বি ভিন্ন স্তরে সংযুক্ত থাকে । বিভিন্ন স্তরের কম্পিউটার গুলো হাবের মাধ্যমে   একটি সাথে আরেক টি সংযুক্ত থাকে ।প্রথম স্তরের কম্পিউটার কে  ২য় স্তরের কম্পিউটারের হোস্ট বলা হয়ে থাকে ।আবার ২য় স্তরের কম্পিউটার গুলোকে  ৩য় স্তএরে  ক ম্পিউটারের হোস্ট বলে  ।

১। এ সংগঠনের  সুবিধা হচ্ছে  শাখা প্রশাখা মাধ্যমে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারন সুবিধা জনক

২।অফিস ব্যাবস্থাপনার কাজে এ নেটওয়ার্কের গঠন বেশি উপোযোগী



মেশ টপোলোজি –COMPLETELY INTERCONNECTED TOPOLOGY

মেশটপোলজির   প্রত্যেকটি ওয়ার্ক স্টেশন  বা কম্পিউটারে  একাধিক সংযোগ ব্যাবস্থা থাকে । এবং প্রত্যেকটি  কম্পিউটার আলাদা লিংক ব্যাবস্থা ধীন থাকে ।এই ব্যাবস্থায়  প্রতিটি কম্পিউটার  সরাসরি যে কোনো কম্পিউটারে ডেটা আদান প্রদান করতে পরে ।

১। সংগঠনের কাঠামো  অনেক শক্তি শালী ।

২। এক ওয়ার্ক স্টেশন  হতে অন্য  ওয়ার্ক  স্টেশনে ডেটা স্থানন্তরের বিরতি  সময় সবচেয়ে  কম

৩। এতে ডাটা কমিউনিকেশনে অনেক বেশি  নিশ্চয়তা থাকে ।

 

 

হাইব্রিড টপোলজি - HYBRID TOPOLOGY

এই ধরনের টপোলজিতে কয়েক প্রকার টপোলজির সংমিশ্রন দেখা যায়  তাই তাকে  HYBRID TOPOLOGY বলে । সব ধরনের গঠনে কিছু সুবি ধা অসুবিধা আছে । এ জন্য হাইব্রিড টপোলজি কয়েকটি টপোলজির মিশ্রনে তৈরি ।

১।এধরনের নেট ওয়ার্কের  সমস্যা নির্ধারন করা সহজ

২।এ ধরনের টপোলজিতে প্রয়োজন   অনু্যায়ী নে টওয়ার্ক চালিত হয় 


প্রোগ্রামিং  ভাষা

বর্তমানে বহুবিদ কাজে ব্যাবহারিত ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র হচ্ছে কম্পিউটার ।কম্পিউটার দিয়ে সহযে যে কোনো সমস্যার সমাধান করা যায় ।কম্পিউটার দিয়ে  কোনো কিছুর সমাধান করতে হলে কম্পিউটার কে তার  বোধগম্য ভাষায় নির্দেশ প্রদান করতে হয় । আর কম্পিউটারের  বোধগম্য ভাষার সমষ্টি কে বলা হয় প্রোগ্রাম ।

সি  C

মুলত ১৯৭০ সালে যুক্তরাষ্টর বেল ল্যাব্রেটরিতে  ডেন চি রিচি (DENNIS RITCHE) DEC PDP-II কম্পিউটার ব্যাবহার করার জন্য ইডেক্সিং অপারেটিং সিস্টেম ব্যাবহার করার মাধ্য্যমে সি প্রোগ্রাম উদ্ভাবন করেন ।কিন্তু পরিবর্তিতে  সি প্রোগ্রাম দ্বারাই ইউনিক্স নতুন করে  লেখা হয় ।

জাভা  JAVA

সান মাইক্রোসিস্টেমের বিল জয় ১৯৯৫ সালে ইন্টারনেট উপযোগী করে জাভা নামে একটি সম্পুর্ন প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ তৈরি করেন ।  জাভা একটি হাইলেভেলের প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ ।  জাভা অনেক টা  সি প্লাস  ল্যাংগুয়েজের  এর  মতো প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ ।তবে এ প্রোগ্রামটির উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট  হলো  সকল ধরনের প্লাট ফর্মে  এটি খুব ভালো ভাবে কাজ করে। এর জন্য উইন্ডোজ ভার্সন  বা ইউনিক্স ভার্সন এ অনুসারে  আলাদা সফটয়্যার  প্রচলিত  নেই ।

ওরাকল  ORACLE

ওরাকল কর্পোরেশন একটি বিশাল ডেটাবেজ সফটয়্যার নির্মাতা  কোম্পানি । ওরাকল কম্পানির ডেটাবেজ প্রোগ্রাম  ওরাকল একটি সর্বাধিক শক্তিশালি ডেটাবেজ প্রোগ্রাম হিসেবে পৃথিবীতে পরিচিত এবং পৃথিবীর সর্বত্ত ব্যাবহারিত হচ্ছে ।  সি প্রোগ্রাম  এবং জাভা প্রোগ্রামের   যৌথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ওরাকল ডেভলপ করা হয়েছে ।এই প্রোগ্রামটি রিলেশনাল  ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমকে  সাপোর্ট করে । ওরাকল কম্পানি সর্বপ্রথম  একটি রিয়েল  রিলেশনাল  ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমকে বানিজ্যিকভাবে বাজারজাত করন করে ।

অ্যালগল  ALGOL

ALGOL  এর পুর্নরুপ  ALGORITHMIC LANGUAGE । ১৯৫৮ সালে সর্বজনীন ভাষা  হিসেবে সব কম্পিউটারে ব্যাবহার যোগ্য  ভাবে বৈজ্ঞানিক  ও প্রকৌশলিক  সমস্যা সমাধানের জন্য এই ভাষার উদ্ভাবন হয় ।তবে ইউরপের বাইরে রে জনপ্রিয়তা লাভ করেনি । তবে পরবর্তিকালে উদ্ভাবিত ভাষা সমুহে এই ভাষার প্রভাব  লক্ষ করা যায় ।

ফরট্রান  FORTRAN

FORTRAN  এর পুর্নরুপ   Formula Translation ।১৯৫৭ সালে বিজ্ঞান প্রোকৌশল ক্ষেত্রসমুহে  ফর্মুলার গানিতিক  বিশ্লেষন  সমস্যা সমাধানের জন্য   আই বি এম কোম্পানি কর্তিক   এই উচ্চতরে ভাষা উদ্ভাবন হয় । পরবর্তিতে  ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত এই ভাষায় বেশ কয়েকটি  সংষ্করন   বের করা হয় । যেমন  FORTHAN II, FORTHAN IV, FORTHAN 77 ইত্যাদি ।

 

কম্পাইলার  Complier

ইন্টার প্রেটার  Interpreter

১। কম্পাইলার সম্পূর্ন প্রোগ্রাম টিকে এক সাথে অনুবাদ করে ।

১। ইন্টার প্রেটার প্রোগ্রামের  একলাইন করে পড়ে এবং মেশিন ভাষায় রুপান্তর করে ।

২।এটি প্রোগ্রামের সবগুলো ভুল এক সাথে প্রদর্শন করে ।

২।এটি প্রত্যেক লাইনের ভুল  প্রদর্শন করে  অনুবাদে কর্যবদ্ধ করে ।

৩।ডিবাগিং বা টেস্টিং এর কাজ ধীর গতি সম্পন্ন ।

৩।ডিবাগিং বা টেস্টিং এর কাজ দ্রুত গতি সম্পন্ন

৪।কম্পাইলারের মাধ্যমে প্রোগ্রাম একবার  কম্পাইলার করা হলে  পরবর্তিতে আর করার প্রয়োজন হয় না

৪। ইন্টারপ্রেটারের ক্ষেত্রে  প্রতিটি কাজের পুর্বে অনুবাদ করা প্রয়োজন হয় ।

৫।ইহার মাধ্যমে  রুপান্তরিত প্রোগ্রাম  সম্পন্ন মেশিন প্রোগ্রামে  পরিনত  হয়

৫।ইহার মাধ্যমে  রুপান্তরিত প্রোগ্রাম   সম্পন্ন মেশিন প্রোগ্রামে  পরিনত  হয় না

৬।এই প্রোগ্রামটি সাধারনত বড় হয়ে থাকে এবং প্রধান মেমরিতে বেশি জায়গা দখল করে

৬।এই প্রোগ্রাম সাধারনত ছোট হয়ে থাকে এবং প্রধান মেমরিতে  কম জায়গা দখল করে থাকে ।

৭।প্রোগ্রাম নির্বাহের জন্য  কম্পাইলারের  সময় কম লাগে

৭।প্রোগ্রাম নির্বাহের জন্য  ইন্টারপ্রেটারে সময় বেশি  লাগে



আরো নতুন নতুন সাজেশন পেতে এখানে ক্লিক করুন

আমাদের ওয়েবসাইট টি  ভিসিট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।আপনাদের মতামত জানাতে পারেন কমেন্টের মাধ্যমে অথবা কটাক্ট পেজের মাধ্যমে ।

Post a Comment

Previous Post Next Post